জেনে নিন মোটা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার সমূহের তালিকা
আসুন জেনে নেই মোটা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার এর তালিকা:
- আলু: বেশি পরিমানে আলু খাওয়া হলো মোটা হওয়ার সহজ উপায়। তাই মোটা হওয়ার জন্য বেশি করে আলু খান।
- ভাত: ভাতেও রয়েছে প্রচুর পরিমানে শর্করা ও ফ্যাট। রুটি বা আটা জাতীয় খাবার না খেয়ে বেশি করে ভাত খেলে তা আপনাকে দ্রুত মোটা হতে সহায়তা করবে।
- ভাতের মাড়: ভাতের ফ্যান বা মাড় খেলে তা আপনাকে দ্রুত মোটা হতে সাহায্য করবে এবং পাশাপাশি এতে রয়েছে প্রচুর পরিমান পুষ্টি। মূলত ভাতের চাইতে ভাতের মাড়েই বেশি পুষ্টি থাকে। তাই মোটা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার এর তালিকায় ভাতের মাড় রাখতে পারেন।
- ডিম: ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমান আমিষ, শর্করা ও প্রোটিন। সুতরাং মোটা হতে চাইলে নিয়মিত ডিম খান।
- চিনি মিশ্রিত খাবার: চিনি মানুষকে মোটা হতে সাহায্য করে তাই মোটা হতে চাইলে চিনি মিশ্রিত খাবার গ্রহন করুন। তবে অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার খেলে তা হৃদরোগ সহ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে করণীয়
- শাকসবজি: পেপে, মিষ্টি কুমড়া, কাচা কলা ইত্যাদি শাক সবজি বেশি পরিমানে খান। এসব শাক সবজি বেশি পরিমানে খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে।
- গরুর মাংস: মোটা হতে চাইলে বেশি করে গরুর মাংস খান। বেশি পরিমানে গরুর মাংস খাওয়াটা হলো মোটা হওয়ার সহজ উপায়। দ্রুত নিজের ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে/ মোটা হতে চাইলে নিয়মিত বেশি পরিমানে গরুর মাংস খান। এটি আপনাকে দ্রুত মোটা হতে সাহায্য করবে।
- কোমল পানীয়: কোমল পানিয় দ্রুত আপনার শরীরকে মোটা করে তুলবে। তাই মোটা হতে চাইলে বেশি পরিমানে কোমল পানিয় পান করুন। তবে এটাও জেনে রাখা উচিত যে, অতিরিক্ত পরিমান কোমল পানীয় পান করা শরীরের জন্য ভালো নয়।
- ফাস্ট ফুড: ফাস্ট ফুড মানুষের শরীরকে দ্রুত মোটা করে তোলে। তাই মোটা হতে চাইলে পুরি, সিংগারা, পিৎজা, বার্গার সহ বিভিন্ন ফাস্ট ফুড খাবার পরিমান বাড়িয়ে দিন। এটি আপনাকে দ্রুত মোটা করে তুলবে।
- দুধ: বেশি করে দুধ খেলে তা মোটা হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং মোটা হতে চাইলে নিয়মিত দুধ পান করুন।
- মাখন: মাখনে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা নিয়মিত খেলে শরীরকে মোটা হতে সাহায্য করে। তাই বেশি পরিমানে মাখান খান।
- ঘি: ঘি-ও শরীরকে দ্রুত মোটা হতে সাহায্য করে। তাই দ্রুত মোটা হতে চাইলে ঘি দিয়ে রান্না করা খাবার বেশি করে খান।
- মধু: মধুতে থাকে প্রাকৃতিক চিনি। যখন পরিশোধিত চিনির সাথে তুলনা করা হয়, মধুতে উপকারী ভিটামিন এবং খনিজও রয়েছে। অন্যদিকে বাজারে কিনতে পাওয়া চিনি “খালি ক্যালোরি” হিসাবে বিবেচিত হয়, যার অর্থ এটি খাওয়ার কোনও সুবিধা নেই। অতএব, যখন আপনি খুব বেশি চিনি খান, তখন আপনার ওজন বাড়ার প্রবণতা কেবল ক্যালরির কারণে নয়, ভিটামিন এবং খনিজের অভাবের কারণেও হতে পারে। অন্যদিকে, মধু এই প্রভাবকে ভারসাম্য দেয় কারণ এটি পুষ্টির একটি ভাল উৎস যা মানুষকে তাদের ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করে।
- আনারস: আনারসে জল, খাদ্যতালিকাগত ফাইবার এবং ব্রোমেলেন রয়েছে যা পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে এবং মলত্যাগকে ধীর করে। এভাবে আনারস ক্ষুধা দমন করতে সাহায্য করে।